এশিয়ান কাপের সেমিতে রোমাঞ্চের অপেক্ষা

5/5 - (1 vote)

এএফসি এশিয়ান কাপে ইরান বনাম জাপানের ম্যাচটা তখন অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার আগেই নাটকীয় মোড় নিয়ে আসেন ইরানের আলিরেজা জাহানবকশ। ৯৬ মিনিটে তাঁর করা পেনাল্টি গোলে ২-১ ব্যবধানে জেতে ইরান। এ জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল তারা।

১৯৬৮ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে টানা তিনবার এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ঘরে তোলে ইরান। এর পর থেকেই চলছে ইরানের শিরোপা-খরা। এমনকি আর কখনো ফাইনালেও খেলা হয়নি। তাই ইরানের জন্য এবার সেমিফাইনালটি গেরো খোলারও। যদিও কাজটা মোটেই সহজ হবে না। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কাতার। যারা শুধু স্বাগতিকই নয়, প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও।

ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার এ সুযোগ নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবে না কাতার। তাদের অবশ্য সেমিফাইনালের টিকিট পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ সমতায় থাকে ১-১ গোলে। টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পর ইরানের কোচ আমির গালেনোই বলেছেন, ‘ইরানের মানুষদের জন্য তারা (খেলোয়াড়েরা) নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। এটা ইরানের ফুটবলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’
অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় শিরোপার অপেক্ষায় থাকা স্বাগতিক কাতারের কোচ টিনটিন মার্কেজ এখন ইরানের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় আছেন, ‘অবশ্যই বড় একটি ম্যাচ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার আগে আমাদের সতেজ হয়ে উঠতে হবে। কারণ, এই ম্যাচে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত খেলতে হয়েছে।’

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে জর্ডান ও দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০৪ সালের আগে কখনোই এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পায়নি জর্ডান। ২০০৫ সালে প্রথম এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলে জর্ডান। তবে ২০০৭ সালে পেরোতে পারেনি বাছাইপর্ব।

এরপর অবশ্য প্রতিবারই খেলেছে তারা। যদিও সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল দুবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। এবার সেই সাফল্যকে পেরিয়ে গেল। কোয়ার্টার ফাইনালে তাজিকিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে তারা। সেমিতে জর্ডানের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ২-১ গোলে।

দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৬০ সালের পর আর কখনো এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট না পরলেও বরাবরই এ প্রতিযোগিতার অন্যতম ফেবারিট হিসেবে খেলেছে। এই দলে সন হিউং-মিনসহ ইউরোপীয় মঞ্চে খেলা একাধিক তারকা আছেন। যদিও জর্ডানের মরোক্কান কোচ হুসাইন আমোতা বলেছেন, প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখতে চান তাঁরা। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ কারা, এটার ওপর নয়, আমাদের ফল নির্ভর করছে নিজেদের পারফরম্যান্সের ওপর।’

Leave a Comment